1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : Rakibul Hasan Shanto : Rakibul Hasan Shanto
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

গালোয়ান দিয়েই কি চিনের বাণিজ্য–পতন শুরু হয়ে গেল ?

  • Update Time : শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০
  • ২২৫ Time View

উপমন্যু রায়

বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে চিনের ‘ভূমিকা’ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে ভারত কোনও প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু গালোয়ানে চিনা সেনার হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে গোটা ভারতেই। চিনের পণ্য বর্জনের দাবিতে গোটা দেশ তোলপাড় করছেন সাধারণ ভারতীয়রা। স্বভাবতই চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ত্যাগ করার পরামর্শও শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।

তবে কেউ কেউ যে এমন দাবি মানতে রাজি নন, সেই প্রমাণও পত্রপত্রিকাগুলিতে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গজ কমিউনিস্টরা তো আছেনই, সেই সঙ্গে এই উপমহাদেশের তথাকথিত কিছু বিশেষজ্ঞ এবং চিনা সংবাদ মাধ্যমগুলিরও এ বিষয়ে একই সুর শোনা গিয়েছে।
মনে হচ্ছে, ভারত–চিন বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন হলে ভারতেরই ক্ষতি হবে। যেন ভারতীয়রা না খেতে পেয়ে মরবেন। কিন্তু চিনের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, চিন সারা পৃথিবীতেই ব্যবসা করে।
আমার প্রশ্ন হল, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক যখন ছিল না বা কম ছিল, তখন কি ভারতীয়রা খেতে পেতেন না? নাকি চিনেরও রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল? দু’ক্ষেত্রেই তার কিছু হয়নি। তাই আজ যদি ভারত–চিন বাণিজ্য সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, তা হলে দুই দেশের কোথাও মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।
বরং, স্পষ্ট কথায় বলি, (‌তবু)‌ ক্ষতি যদি কারও হয়, তা হবে চিনেরই। ভারতের ক্ষেত্রে কিছু পণ্য বা পণ্যের কাঁচামালের যে অভাব দেখা যাবে, কিছুদিনের মধ্যেই অন্য কোনও দেশের সহযোগিতায় বা নিজেদের দেশের মধ্যে স্ব–উদ্যোগে সেই অভাবও মিটিয়ে ফেলা অসম্ভব নয়। এই একুশ শতকে চলার সময় ভারতের মতো দেশ যদি সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারে, তা হলে সেই দেশের উচিতই নয় আরও উন্নত হওয়ার চেষ্টা করা।

এবার আসা যাক চিনের প্রতিক্রিয়ায়। চিনের কী প্রতিক্রিয়া, তা সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির সৌজন্যে পাওয়া যায়। এ কথা তো সকলেরই জানা, চিনের সংবাদ মাধ্যমগুলির কোনও স্বাধীনতা নেই। রাষ্ট্র যে ভাষায় কথা বলে, তারা সেই সুরই বাজিয়ে চলে। ভিন্নমতের কোনও স্থান নেই সেখানে। আর, ‘গ্লোবাল টাইমস’ তো রাষ্ট্রেরই মুখপত্র।
যাই হোক, ভারতে চিনের পণ্য বর্জনের জোরালো দাবি ওঠার প্রথম দিকে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির মুখে নমনীয় কথা শোনা গিয়েছিল। বলা হচ্ছিল, রাষ্ট্রনীতির সঙ্গে বাণিজ্যকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। পরে যখন দেখা গেল সত্যি সত্যিই দুই দেশের নেতিবাচক সম্পর্কের প্রভাব বাণিজ্যে পড়তে শুরু করেছে, তখন তো রীতিমতো হুমকি দেওয়া শুরু হল। বলা হল, বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হলে ভারতেরই ক্ষতি হবে। বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘন করছে ভারত। ইত্যাদি। ইত্যাদি।
কিন্তু, কথা হল, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভারতেরই যদি খারাপ হয়, তা হলে তা নিয়ে চিনের এত মাথাব্যথা কীসের? চিন কবে অন্য দেশের মঙ্গল চেয়েছে? তাইওয়ান থেকে ভুটান, জাপান থেকে ফিলিপিনস, সব দেশের সঙ্গেই সবসময় তারা নিজেদের দখলদারি মনোভাব দেখিয়ে চলেছে। আসলে নিজেদের হতাশা ঢাকতেই বাণিজ্য সম্পর্ক যাতে খারাপ না করে, তাই ঘুরিয়ে ভারতকে চাপ দিতে চাইছে তারা।
আর, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি মানে কী? আমি তোমার সঙ্গে বাণিজ্যে আগ্রহী নই। তাই আমি তোমার সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই না। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘনের কী আছে? চিরকাল ব্যবসা করে যাব বলে আমি কি তোমার কাছে দাসখত লিখে দিয়েছি? তাই চিনের এমন দাবিতে ভারতকে যে বিচলিত করা যাবে না, সে কথা বলাই বাহুল্য।
মনে হচ্ছে, ভারতে বাণিজ্য করতে না পারলে তাদের যে ক্ষতি হবে, তার প্রভাব কিছুতেই এড়াতে পারবে না তারা। তাই এত ফোঁসফাঁস করতে শুরু করেছে।

হ্যাঁ, এটাই সত্য। ভারত–চিন বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হলে চিনেরই মারাত্মক ক্ষতি হবে। তা আমাদের বঙ্গজ কমিউনিস্ট বা উপমহাদেশের তথাকথিত বিশেষজ্ঞরা বুঝতে না পারলেও বেজিং ঠিকই বুঝতে পেরেছে। তাই তাদের মাথায় এখন সেই আশঙ্কাই সবসময় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং তো এখন বারবার বলে চলেছেন, চিন নাকি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তাঁর দাবির সত্যতা কতটুকু, বা বাণিজ্যিক কারণ তার পেছনে কতটুকু রয়েছে, তা আলোচনা সাপেক্ষ।
এবার আসা যাক আরও কিছু সহজ কথায়। অনেকে বলছেন, গোটা পৃথিবীতেই এখন চিনা পণ্যের রমরমা। সারা বিশ্বে যে ভাবে ব্যবসা করছে চিন, তাতে ভারত যদি তাদের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নষ্ট করে, তা হলে কোনও ক্ষতি হবে না এই ‘কমিউনিস্ট’ দেশটির। কিন্তু কতটা সত্য বলছেন তাঁরা?

ভারতের জনসংখ্যা এখন কম–বেশি ১৩৫ কোটি। এত বড় বাজার চিন পৃথিবীর আর কোন দেশে পাবে? তাই এই বাজার যদি হারিয়ে যায়, তা হলে চিনের বাণিজ্যে তার কোনও প্রভাব পড়বে না, সে কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এই বাজারের জন্যেই ক্রিকেট খেলায়ও ভারতের একটা বিশেষ মর্যাদা আছে। এই বাজারের জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন মাধ্যমের এত আগ্রহ এই দেশটিকে নিয়ে।
অন্যদিকে, অন্য দেশগুলির কথা ভাবুন। ভারতের পর বাংলাদেশের বাজারের একটা বিশেষ কদর চিনের কাছে থাকতে পারে। তবে জনসংখ্যার নিরিখে উপমহাদেশের অন্য দেশগুলি, যেমন পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কার (‌বা এমনকী বাংলাদেশেরও)‌ বাজার কি ভারতের বাজারের সঙ্গে তুলনায় আসতে পারে? পারে না। আর এটাই বাস্তব। চিন অস্বীকার করবে কী করে?
এবার আসি ইউরোপ এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার কথায়। ৫০টি দেশ নিয়ে গড়া ইউরোপের জনসংখ্যা ভারতের ধারেকাছে নেই। গোটা ইউরোপের জনসংখ্যা ৭৪ কোটির কিছু বেশি। এ ছাড়া, ২৩টি দেশ নিয়ে গড়া উত্তর আমেরিকার জনসংখ্যা সাড়ে ৫৬ কোটি। আর, ১৩টি দেশ নিয়ে গড়া দক্ষিণ আমেরিকার জনসংখ্যা সাড়ে ৩৮ কোটির অল্প বেশি।
সুতরাং, জনসংখ্যার নিরিখে একা ভারতের জনসংখ্যা যে বাজার তৈরি করে দিয়েছে গোটা পৃথিবীর কাছে, চিন ছাড়া তার সমকক্ষ হতে পারেনি আর কোনও দেশই। তাই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চিনের পক্ষে ভারতকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় কোনও মতেই। যতই চিনের হয়ে কিছু বুদ্ধিজীবী কমিউনিস্টরা গলা ফাটান না কেন!

এবার আসা যাক পণ্যের মান ও পণ্যের ব্যবহার প্রসঙ্গে। সোজা কথায়, চিনের পণ্যের দাম কম হলেও মান একেবারেই ভালো নয়। সাদা বাংলায় একটা কথা শোনা যায়, ‘সস্তার জিনিস কিনে পস্তানো’। চিনের পণ্যদ্রব্য অনেকটা সেই রকমই। চিন যে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে, ইতিমধ্যে পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, এমনকী, গালোয়ানের আগে ভারতেও তার মান নিয়ে অনেকবার প্রশ্ন উঠেছে।
যেহেতু পণ্যের মান ভালো নয়, তাই পরিমাণগত দিক থেকে অত্যধিক তৈরি করে চিনের ব্যবসায়ীরা লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু পণ্যের গুণগত খারাপ মানের কথা ব্যবহারকারীরাও আজ ভালো করেই জানেন। কিন্তু কম দামের জন্য তাঁরা সেই পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু কারা করেন?
এ কথা তো অনস্বীকার্য, ভারতীয় উপমহাদেশের বাসিন্দাদের ক্রয়ক্ষমতা খুব বেশি নয়। তাই চিনের কম দামি পণ্যের জনপ্রিয়তা এই দেশগুলিতে একটু বেশিই।
কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এই উপমহাদেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের জীবনযাত্রার মানও অনেক উন্নত। তাই ইউরোপ বা আমেরিকার মানুষ চিনের পণ্য দেখে আহ্লাদে আটখানা হয়ে যান না। চিনের পণ্য ব্যবহার যে তাঁরা একেবারে করেন না, তা হয়তো নয়। তবে চিনের পণ্য ব্যবহারে নির্ভরশীল নন একদমই।
তাই ভারতের বাজার হারালে চিন সেই বাজার অন্য কোথাও খুঁজে পাবে না। সেই কারণে এই বাণিজ্যিক ক্ষতি তাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কা দেবে না, তা বিশ্বাস করি কী ভাবে?

যাঁরা ভাবছেন, চিনের পণ্য সরাসরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তাই চিনের ব্যবসাও অব্যাহত থাকবে, তা বোধ হয় অতি কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, ইতিমধ্যেই চিনের পণ্য ব্যবহার থেকে অনেক ভারতীয়ই নিজেদের বিরত করেছেন। ফলে ১, ২, ৩ শতাংশ করে চিনা পণ্যের চাহিদা কমতে শুরু করেছে।
তা ছাড়া ভারত সরকারও চিনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার পক্ষপাতি। সেইজন্য চিনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিয়মকানুনও যথেষ্ট কড়া করবে। ইতিমধ্যে কিছু ক্ষেত্রে করতে শুরুও করে দিয়েছে।
কথায় আছে, চাহিদা কমলে জোগানও কমে। জোগান বলতে চিনের জোগান, মানে ভারতের দিক থেকে আমদানিই। ফলে যে পরিমাণ চিনা পণ্যের অর্ডার যেত এতদিন, তা কমতে বাধ্য।
একদিনে চিনের সমস্ত পণ্য আমদানি ভারত বন্ধ করে দেবে, তা হবে না। হতে পারে না। কিন্তু অর্ডার কমতে থাকলে এক বছর, দুই বছর করে কয়েক বছর পরে আমদানির পরিমাণ অনেকটাই কমে যেতে বাধ্য।
এমনিতেই চিনের পণ্যের তেমন সুনাম বা গুডউইল নেই। তাই এই অর্ডার কমতে থাকলে ভারতের বেসরকারি সংস্থাগুলি এবং অন্য দেশের সংস্থাগুলিও সেই শূন্যস্থান দখল করতে চাইবে। এটা ঘটবে অর্থনীতির নিয়মেই। সুতরাং এই অবস্থায় চিনা পণ্যের রমরমা মারাত্মক কমে যেতে পারে, যদি না ভারতের সঙ্গে সমস্ত সমস্যা চিন মিটিয়ে ফেলে।

‌এ ছাড়া ভারত সরকার যে চিনের প্রতি বিরূপ, সরাসরি তার প্রমাণ দিতে শুরু করে দিয়েছে। প্রথম ধাপে ভারত সরকার চিনের ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করে দেয়। এর পর আরও বেশ কিছু অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেক কড়া নজরদারি শুরু করেছে।
অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি চিন সহজ ভাবে নিতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে।
মনে হয় বিষয়টির ফল সুদূর প্রসারী হতে চলেছে। ভারতের চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে আমেরিকাও। শুধু তাই নয়, খোদ আমেরিকায় ইতিমধ্যে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। পাশাপাশি মার্কিন সরকারও নানা কারণে চিনের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ প্রতি মুহূর্তে জানিয়ে চলেছে।
এ ছাড়া, অন্যান্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলিতেও চিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। অনেকগুলি সরকারি এবং বেসরকারি প্রকল্প থেকে চিনের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছে। ভারতের বেশ কিছু বেসরকারি কোম্পানিও চিনের সহযোগিতা নেওয়ার পথ থেকে সরে এসেছে।

শুধু ভারত নয়, ভারতের মতো পথ অনুসরণ করার কথা ভাবছে ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলিও। অনেক দেশই রাজনৈতিক দিক থেকে এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের অভিযোগ তুলেছে। পাশাপাশি করোনা ইস্যুতে তাদের ক্ষোভ গোপনও রাখছে না।
করোনা–সময়ে যখন গোটা পৃথিবীর অর্থনীতিই দিশেহারা হয়ে পড়েছে, তখন মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং পিপিই পোশাক একচেটিয়া রফতানি করে চিন আরও ‘লাল’ হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জনকারী দেশ হিসেবে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিষয়টি চোখে পড়েছে অনেক দেশেরই। তারা চিনের দিকে এখন অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং পিপিই নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে চিন পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।
যদিও এই একচেটিয়া কারবার স্বল্পকালীনই হয়ে থাকে। কেন না, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং পিপিই তৈরি করা জটিল কোনও বিষয় নয়। অনেক দেশ চিনের কাছ থেকে এ–সব আমদানি বন্ধ করে নিজেরাই উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে।
অন্যদিকে, করোনা–কালে চিন থেকে অনেক বিদেশি সংস্থাই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া–সহ ইউরোপ এবং আমেরিকার সংস্থাগুলির লক্ষ্য এখন ভারত। বেশ কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যে ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক কাজ ভারতে করেও ফেলেছে।
ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে চিনের বাণিজ্যে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। যা তাদের কমিউনিজমের ভেক ধরা সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবকে ভেঙেচুরে দিতে পারে।

মনে হচ্ছে, গালোয়ান দিয়েই চিনের সেই বাণিজ্য–পতন শুরু হয়ে গেল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..